দক্ষ মানবসম্পদের বিকাশে ইউসিবি ও নেসলে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব
শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ বৃদ্ধিতে সুইজারল্যান্ড-ভিত্তিক বিশ্বের এক নম্বর ফুড ও বেভারেজ ব্র্যান্ড (প্রতিষ্ঠান) নেসলে বাংলাদেশ পিএলসি’র সাথে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে ইউনিভার্সাল কলেজ বাংলাদেশ (ইউসিবি)। সম্প্রতি, ইউসিবি অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে নিজেদের উল্লেখযোগ্য এ মাইলফলকের ব্যাপারে ঘোষণা দেয়। কৌশলগত এ অংশীদারিত্বের লক্ষ্য অ্যাকাডেমিয়া ও সংশ্লিষ্ট খাতের মধ্যে ব্যবধান দূর করে ইউসিবি’র শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত বিকাশে বিভিন্ন সুযোগ প্রদান করা। এ অংশীদারিত্বের ফলে, ইউসিবি শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা উন্মোচনে নিজেদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্লেসমেন্ট সুযোগ, ইন্টার্নশিপ ও বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সুযোগসহ নানা সুবিধা পাবে। এ উদ্যোগ বাজার-সম্পর্কিত জ্ঞান বৃদ্ধিসহ তরুণ মেধাবীদের ভবিষ্যতের করপোরেট বিশ্বে সফল হওয়ার জন্য প্রস্তুত করে তুলতে ইউসিবি ও নেসলে বাংলাদেশ পিএলসি’র প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন। ইউসিবি শিক্ষার্থীরা নেসলে থেকে নলেজ-শেয়ারিং সেশন ও গেস্ট লেকচারে অংশগ্রহণের সুযোগ এবং ক্যারিয়ার সম্পর্কিত বিভিন্ন পরামর্শ পাবে। এ কর্মসূচি এমনভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের শেখার অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করবে, তাদের বাস্তব চ্যালেঞ্জসহ বিভিন্ন প্রতিকূলতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করবে এবং তাদের সঠিক টুল প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ করে তুলবে যেনো তারা রূপান্তরশীল বৈশ্বিক বাজারের সফলতা অর্জন করতে পারে। ইউসিবি ও নেসলে বাংলাদেশ উভয় প্রতিষ্ঠানের উচ্চ কর্মকর্তাবৃন্দের উপস্থিতিতে রাজধানীতে নেসলে কার্যালয়ে এ চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউসিবি ইউওএল-এলএসই’র হেড অব প্রোগ্রাম সৌরিন দত্ত এবং ইউসিবি’র অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার এস. এম. রিসালাত রহমান অনুষ্ঠানে ইউসিবি’র প্রতিনিধিত্ব করেন। নেসলে বাংলাদেশ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্সের ডিরেক্টর – লিগ্যাল, আরএসএ ও কোম্পানি সচিব দেবব্রত রায় চৌধুরী; এইচআরবিপি সিফাত তাবিন্দা আলম; লিগ্যাল অ্যান্ড কমপ্ল্যায়েন্স ম্যানেজার ফয়সাল আহমেদ ও রিক্রুটমেন্ট অ্যান্ড এমপ্লয়ার ব্র্যান্ডিং -এর এইচআর অফিসার সাজিয়া সানজানা। অনুষ্ঠানে অংশীদারিত্ব ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে মানবসম্পদ গড়ে তুলতে নিজেদের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ। অনুষ্ঠানে ইউসিবি’র সিওও অমিত প্রসাদ এ অংশীদারিত্ব নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, “আমরা নিশ্চিত করতে চাই, আমাদের শিক্ষার্থীরা যেনো সঠিকভাবে দক্ষ হয়ে এবং বাস্তবতা সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে ও মানসিকতা তৈরির পরে সম্ভাবনাময় মানবসম্পদ হিসেবে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে প্রবেশ করে। আমরা এর আগে এ বিষয়ে নেতৃস্থানীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদারিত্ব করেছি; এবং এখন নেসলে বাংলাদেশের সাথে আমাদের অংশীদারিত্ব এ প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করেছে। আমাদের প্রত্যাশা এ অংশীদারিত্ব আমাদের শিক্ষার্থীদের খাত সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন ও বাস্তবধর্মী অভিজ্ঞতা গ্রহণের মাধ্যমে তাদের পোর্টফোলিও সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে অনন্য সুযোগ তৈরি করবে।” নেসলে বাংলাদেশের করপোরেট অ্যাফেয়ার্সের ডিরেক্টর – লিগ্যাল, আরএসএ ও কোম্পানি সচিব দেবব্রত রায় চৌধুরী বলেন, “ইউসিবি বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক শিক্ষা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নিজ দেশে অবস্থান করে মোনাশ ইউনিভার্সিটি এবং লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের মতো বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুবর্ণ সুযোগ করে দিয়েছে। আমরা ইউসিবি’র মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে এবং তাদের আমাদের বিশ্বমান সম্পন্ন কাজের সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা অর্জনে সহায়তা করতে চাই। কেননা, আমরা আমাদের বৈচিত্র্যময় ‘নেসলে নিডস ইয়ুথ’ উদ্যোগের মাধ্যমে তরুণদের সফলতা অর্জনে দক্ষ করে তোলার মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী। আমরা আত্মবিশ্বাসী, নেসলেতে আমাদের অভিজ্ঞ পরামর্শ এবং দক্ষতা শিক্ষার্থীদের সম্যক জ্ঞান অর্জনে এবং তাদের আগামী দিনের নেতৃত্বে পরিণত করতে ভূমিকা রাখবে।” Published in: Dainikchalonbilerkotha
দক্ষ মানবসম্পদের বিকাশে ইউসিবি ও নেসলে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব
শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ বৃদ্ধিতে সুইজারল্যান্ড-ভিত্তিক বিশ্বের এক নম্বর ফুড ও বেভারেজ ব্র্যান্ড (প্রতিষ্ঠান) নেসলে বাংলাদেশ পিএলসি’র সাথে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে ইউনিভার্সাল কলেজ বাংলাদেশ (ইউসিবি)। সম্প্রতি, ইউসিবি অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে নিজেদের উল্লেখযোগ্য এ মাইলফলকের ব্যাপারে ঘোষণা দেয়। কৌশলগত এ অংশীদারিত্বের লক্ষ্য অ্যাকাডেমিয়া ও সংশ্লিষ্ট খাতের মধ্যে ব্যবধান দূর করে ইউসিবি’র শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত বিকাশে বিভিন্ন সুযোগ প্রদান করা। এ অংশীদারিত্বের ফলে, ইউসিবি শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা উন্মোচনে নিজেদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্লেসমেন্ট সুযোগ, ইন্টার্নশিপ ও বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সুযোগসহ নানা সুবিধা পাবে। এ উদ্যোগ বাজার-সম্পর্কিত জ্ঞান বৃদ্ধিসহ তরুণ মেধাবীদের ভবিষ্যতের করপোরেট বিশ্বে সফল হওয়ার জন্য প্রস্তুত করে তুলতে ইউসিবি ও নেসলে বাংলাদেশ পিএলসি’র প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন। ইউসিবি শিক্ষার্থীরা নেসলে থেকে নলেজ-শেয়ারিং সেশন ও গেস্ট লেকচারে অংশগ্রহণের সুযোগ এবং ক্যারিয়ার সম্পর্কিত বিভিন্ন পরামর্শ পাবে। এ কর্মসূচি এমনভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের শেখার অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করবে, তাদের বাস্তব চ্যালেঞ্জসহ বিভিন্ন প্রতিকূলতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করবে এবং তাদের সঠিক টুল প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ করে তুলবে যেনো তারা রূপান্তরশীল বৈশ্বিক বাজারের সফলতা অর্জন করতে পারে। ইউসিবি ও নেসলে বাংলাদেশ উভয় প্রতিষ্ঠানের উচ্চ কর্মকর্তাবৃন্দের উপস্থিতিতে রাজধানীতে নেসলে কার্যালয়ে এ চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউসিবি ইউওএল-এলএসই’র হেড অব প্রোগ্রাম সৌরিন দত্ত এবং ইউসিবি’র অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার এস. এম. রিসালাত রহমান অনুষ্ঠানে ইউসিবি’র প্রতিনিধিত্ব করেন। নেসলে বাংলাদেশ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্সের ডিরেক্টর – লিগ্যাল, আরএসএ ও কোম্পানি সচিব দেবব্রত রায় চৌধুরী; এইচআরবিপি সিফাত তাবিন্দা আলম; লিগ্যাল অ্যান্ড কমপ্ল্যায়েন্স ম্যানেজার ফয়সাল আহমেদ ও রিক্রুটমেন্ট অ্যান্ড এমপ্লয়ার ব্র্যান্ডিং -এর এইচআর অফিসার সাজিয়া সানজানা। অনুষ্ঠানে অংশীদারিত্ব ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে মানবসম্পদ গড়ে তুলতে নিজেদের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ। অনুষ্ঠানে ইউসিবি’র সিওও অমিত প্রসাদ এ অংশীদারিত্ব নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, “আমরা নিশ্চিত করতে চাই, আমাদের শিক্ষার্থীরা যেনো সঠিকভাবে দক্ষ হয়ে এবং বাস্তবতা সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে ও মানসিকতা তৈরির পরে সম্ভাবনাময় মানবসম্পদ হিসেবে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে প্রবেশ করে। আমরা এর আগে এ বিষয়ে নেতৃস্থানীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদারিত্ব করেছি; এবং এখন নেসলে বাংলাদেশের সাথে আমাদের অংশীদারিত্ব এ প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করেছে। আমাদের প্রত্যাশা এ অংশীদারিত্ব আমাদের শিক্ষার্থীদের খাত সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন ও বাস্তবধর্মী অভিজ্ঞতা গ্রহণের মাধ্যমে তাদের পোর্টফোলিও সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে অনন্য সুযোগ তৈরি করবে।” নেসলে বাংলাদেশের করপোরেট অ্যাফেয়ার্সের ডিরেক্টর – লিগ্যাল, আরএসএ ও কোম্পানি সচিব দেবব্রত রায় চৌধুরী বলেন, “ইউসিবি বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক শিক্ষা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নিজ দেশে অবস্থান করে মোনাশ ইউনিভার্সিটি এবং লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের মতো বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুবর্ণ সুযোগ করে দিয়েছে। আমরা ইউসিবি’র মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে এবং তাদের আমাদের বিশ্বমান সম্পন্ন কাজের সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা অর্জনে সহায়তা করতে চাই। কেননা, আমরা আমাদের বৈচিত্র্যময় ‘নেসলে নিডস ইয়ুথ’ উদ্যোগের মাধ্যমে তরুণদের সফলতা অর্জনে দক্ষ করে তোলার মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী। আমরা আত্মবিশ্বাসী, নেসলেতে আমাদের অভিজ্ঞ পরামর্শ এবং দক্ষতা শিক্ষার্থীদের সম্যক জ্ঞান অর্জনে এবং তাদের আগামী দিনের নেতৃত্বে পরিণত করতে ভূমিকা রাখবে।” Published in: Viewsbangladesh
Universal College, Nestle sign MoU for market-oriented resource development
Marking a significant milestone in extending career opportunities for its students, Universal College Bangladesh (UCB) recently signed a Memorandum of Understanding (MoU) with food and beverage brand Nestle Bangladesh. This strategic partnership aims to bridge the gap between academia and industry, offering exciting benefits to UCB students for their career and personal development, says a press release. Following this agreement, UCB students will now gain access to a wide range of career prospects, including placement opportunities, internships, and specialised training programmes, at Nestle to enhance their skills and competencies. This initiative reflects the commitment of both UCB and Nestle to nurture young talents with proper market orientation and to prepare them for successful futures in the corporate world. UCB students will also benefit from the invaluable resources provided by Nestle through exclusive knowledge-sharing sessions, guest lectures, and career guidance. These programmes are designed to enrich the students’ learning experiences, expose them to real-world challenges, and equip them with the necessary tools to thrive in the transforming global market. The MoU signing ceremony, held at the Nestle Office in Dhaka, was attended by high officials from both UCB and Nestle Bangladesh. Amit Prasad, Chief Operating Officer; Soureen Dutta, Head of Programme, UCB UoL-LSE; and SM Risalat Rahman, Assistant Manager, represented UCB at the event. Nestle officials, Debabrata Roy Chowdhury, Director-Legal, RSA, Corporate Affairs and Company Secretary; Sifat Tabinda Alam, HRBP; Foysol Ahamed, Manager-Legal & Compliance and Sazia Sanzana, HR Officer-Recruitment & Employer Branding, also graced the occasion. At the event, Amit Prasad expressed his enthusiasm about the partnership, saying, “We want to make sure our students are equipping themselves with the correct set of skills and shaping practical mindsets before they enter the competitive market as prospective resources. We have previously ensured collaboration with different leading corporate entities in this regard, and now our partnership with Nestlé Bangladesh further strengthens the process. It shall bring remarkable opportunities for our students to accumulate invaluable industry exposure and hands-on experience to enrich their portfolios”. Debabrata Roy Chowdhury said, “As UCB is the first international education provider in Bangladesh, it has given a golden opportunity to Bangladeshi students to pursue their higher education from world-class universities such as Monash University and London School of Economics, while being in their home country. We are looking forward to welcoming such talented students from UCB and helping them experience our global-standard work culture, as we strongly believe in empowering the youth with skills they need to thrive through our diverse “Nestle needs youth” initiatives. We are confident that the guidance and expertise of our experienced professionals in Nestle will help these students gain valuable insights and shape them into the leaders of tomorrow.” Published in: Viewsbangladesh
দক্ষ মানবসম্পদের বিকাশে ইউসিবি ও নেসলে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব
শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ বৃদ্ধিতে সুইজারল্যান্ড-ভিত্তিক বিশ্বের এক নম্বর ফুড ও বেভারেজ ব্র্যান্ড (প্রতিষ্ঠান) নেসলে বাংলাদেশ পিএলসি’র সাথে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে ইউনিভার্সাল কলেজ বাংলাদেশ (ইউসিবি)। সম্প্রতি, ইউসিবি অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে নিজেদের উল্লেখযোগ্য এ মাইলফলকের ব্যাপারে ঘোষণা দেয়। কৌশলগত এ অংশীদারিত্বের লক্ষ্য অ্যাকাডেমিয়া ও সংশ্লিষ্ট খাতের মধ্যে ব্যবধান দূর করে ইউসিবি’র শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত বিকাশে বিভিন্ন সুযোগ প্রদান করা। এ অংশীদারিত্বের ফলে, ইউসিবি শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা উন্মোচনে নিজেদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্লেসমেন্ট সুযোগ, ইন্টার্নশিপ ও বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সুযোগসহ নানা সুবিধা পাবে। এ উদ্যোগ বাজার-সম্পর্কিত জ্ঞান বৃদ্ধিসহ তরুণ মেধাবীদের ভবিষ্যতের করপোরেট বিশ্বে সফল হওয়ার জন্য প্রস্তুত করে তুলতে ইউসিবি ও নেসলে বাংলাদেশ পিএলসি’র প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন। ইউসিবি শিক্ষার্থীরা নেসলে থেকে নলেজ-শেয়ারিং সেশন ও গেস্ট লেকচারে অংশগ্রহণের সুযোগ এবং ক্যারিয়ার সম্পর্কিত বিভিন্ন পরামর্শ পাবে। এ কর্মসূচি এমনভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের শেখার অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করবে, তাদের বাস্তব চ্যালেঞ্জসহ বিভিন্ন প্রতিকূলতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করবে এবং তাদের সঠিক টুল প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ করে তুলবে যেনো তারা রূপান্তরশীল বৈশ্বিক বাজারের সফলতা অর্জন করতে পারে। ইউসিবি ও নেসলে বাংলাদেশ উভয় প্রতিষ্ঠানের উচ্চ কর্মকর্তাবৃন্দের উপস্থিতিতে রাজধানীতে নেসলে কার্যালয়ে এ চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউসিবি ইউওএল-এলএসই’র হেড অব প্রোগ্রাম সৌরিন দত্ত এবং ইউসিবি’র অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার এস. এম. রিসালাত রহমান অনুষ্ঠানে ইউসিবি’র প্রতিনিধিত্ব করেন। নেসলে বাংলাদেশ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্সের ডিরেক্টর – লিগ্যাল, আরএসএ ও কোম্পানি সচিব দেবব্রত রায় চৌধুরী; এইচআরবিপি সিফাত তাবিন্দা আলম; লিগ্যাল অ্যান্ড কমপ্ল্যায়েন্স ম্যানেজার ফয়সাল আহমেদ ও রিক্রুটমেন্ট অ্যান্ড এমপ্লয়ার ব্র্যান্ডিং -এর এইচআর অফিসার সাজিয়া সানজানা। অনুষ্ঠানে অংশীদারিত্ব ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে মানবসম্পদ গড়ে তুলতে নিজেদের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ। অনুষ্ঠানে ইউসিবি’র সিওও অমিত প্রসাদ এ অংশীদারিত্ব নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, “আমরা নিশ্চিত করতে চাই, আমাদের শিক্ষার্থীরা যেনো সঠিকভাবে দক্ষ হয়ে এবং বাস্তবতা সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে ও মানসিকতা তৈরির পরে সম্ভাবনাময় মানবসম্পদ হিসেবে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে প্রবেশ করে। আমরা এর আগে এ বিষয়ে নেতৃস্থানীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদারিত্ব করেছি; এবং এখন নেসলে বাংলাদেশের সাথে আমাদের অংশীদারিত্ব এ প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করেছে। আমাদের প্রত্যাশা এ অংশীদারিত্ব আমাদের শিক্ষার্থীদের খাত সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন ও বাস্তবধর্মী অভিজ্ঞতা গ্রহণের মাধ্যমে তাদের পোর্টফোলিও সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে অনন্য সুযোগ তৈরি করবে।” নেসলে বাংলাদেশের করপোরেট অ্যাফেয়ার্সের ডিরেক্টর – লিগ্যাল, আরএসএ ও কোম্পানি সচিব দেবব্রত রায় চৌধুরী বলেন, “ইউসিবি বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক শিক্ষা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নিজ দেশে অবস্থান করে মোনাশ ইউনিভার্সিটি এবং লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের মতো বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুবর্ণ সুযোগ করে দিয়েছে। আমরা ইউসিবি’র মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে এবং তাদের আমাদের বিশ্বমান সম্পন্ন কাজের সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা অর্জনে সহায়তা করতে চাই। কেননা, আমরা আমাদের বৈচিত্র্যময় ‘নেসলে নিডস ইয়ুথ’ উদ্যোগের মাধ্যমে তরুণদের সফলতা অর্জনে দক্ষ করে তোলার মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী। আমরা আত্মবিশ্বাসী, নেসলেতে আমাদের অভিজ্ঞ পরামর্শ এবং দক্ষতা শিক্ষার্থীদের সম্যক জ্ঞান অর্জনে এবং তাদের আগামী দিনের নেতৃত্বে পরিণত করতে ভূমিকা রাখবে।” Published in: Shobujalo
দক্ষ মানবসম্পদ বিকাশে ইউসিবি ও নেসলে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব
শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ বৃদ্ধিতে সুইজারল্যান্ড-ভিত্তিক বিশ্বের এক নম্বর ফুড ও বেভারেজ ব্র্যান্ড (প্রতিষ্ঠান) নেসলে বাংলাদেশ পিএলসি’র সাথে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে ইউনিভার্সাল কলেজ বাংলাদেশ (ইউসিবি)। সম্প্রতি, ইউসিবি অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে নিজেদের উল্লেখযোগ্য এ মাইলফলকের ব্যাপারে ঘোষণা দেয়। কৌশলগত এ অংশীদারিত্বের লক্ষ্য অ্যাকাডেমিয়া ও সংশ্লিষ্ট খাতের মধ্যে ব্যবধান দূর করে ইউসিবি’র শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত বিকাশে বিভিন্ন সুযোগ প্রদান করা। এ অংশীদারিত্বের ফলে, ইউসিবি শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা উন্মোচনে নিজেদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্লেসমেন্ট সুযোগ, ইন্টার্নশিপ ও বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সুযোগসহ নানা সুবিধা পাবে। এ উদ্যোগ বাজার-সম্পর্কিত জ্ঞান বৃদ্ধিসহ তরুণ মেধাবীদের ভবিষ্যতের করপোরেট বিশ্বে সফল হওয়ার জন্য প্রস্তুত করে তুলতে ইউসিবি ও নেসলে বাংলাদেশ পিএলসি’র প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন। Published in: Sangbadsarabela
দক্ষ মানবসম্পদের বিকাশে ইউসিবি ও নেসলে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব
শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ বৃদ্ধিতে সুইজারল্যান্ড-ভিত্তিক বিশ্বের এক নম্বর ফুড ও বেভারেজ ব্র্যান্ড (প্রতিষ্ঠান) নেসলে বাংলাদেশ পিএলসি’র সাথে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে ইউনিভার্সাল কলেজ বাংলাদেশ (ইউসিবি)। সম্প্রতি, ইউসিবি অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে নিজেদের উল্লেখযোগ্য এ মাইলফলকের ব্যাপারে ঘোষণা দেয়। কৌশলগত এ অংশীদারিত্বের লক্ষ্য অ্যাকাডেমিয়া ও সংশ্লিষ্ট খাতের মধ্যে ব্যবধান দূর করে ইউসিবি’র শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত বিকাশে বিভিন্ন সুযোগ প্রদান করা। এ অংশীদারিত্বের ফলে, ইউসিবি শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা উন্মোচনে নিজেদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্লেসমেন্ট সুযোগ, ইন্টার্নশিপ ও বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সুযোগসহ নানা সুবিধা পাবে। এ উদ্যোগ বাজার-সম্পর্কিত জ্ঞান বৃদ্ধিসহ তরুণ মেধাবীদের ভবিষ্যতের করপোরেট বিশ্বে সফল হওয়ার জন্য প্রস্তুত করে তুলতে ইউসিবি ও নেসলে বাংলাদেশ পিএলসি’র প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন। ইউসিবি শিক্ষার্থীরা নেসলে থেকে নলেজ-শেয়ারিং সেশন ও গেস্ট লেকচারে অংশগ্রহণের সুযোগ এবং ক্যারিয়ার সম্পর্কিত বিভিন্ন পরামর্শ পাবে। এ কর্মসূচি এমনভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের শেখার অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করবে, তাদের বাস্তব চ্যালেঞ্জসহ বিভিন্ন প্রতিকূলতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করবে এবং তাদের সঠিক টুল প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ করে তুলবে যেনো তারা রূপান্তরশীল বৈশ্বিক বাজারের সফলতা অর্জন করতে পারে। ইউসিবি ও নেসলে বাংলাদেশ উভয় প্রতিষ্ঠানের উচ্চ কর্মকর্তাবৃন্দের উপস্থিতিতে রাজধানীতে নেসলে কার্যালয়ে এ চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউসিবি ইউওএল-এলএসই’র হেড অব প্রোগ্রাম সৌরিন দত্ত এবং ইউসিবি’র অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার এস. এম. রিসালাত রহমান অনুষ্ঠানে ইউসিবি’র প্রতিনিধিত্ব করেন। নেসলে বাংলাদেশ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্সের ডিরেক্টর – লিগ্যাল, আরএসএ ও কোম্পানি সচিব দেবব্রত রায় চৌধুরী; এইচআরবিপি সিফাত তাবিন্দা আলম; লিগ্যাল অ্যান্ড কমপ্ল্যায়েন্স ম্যানেজার ফয়সাল আহমেদ ও রিক্রুটমেন্ট অ্যান্ড এমপ্লয়ার ব্র্যান্ডিং -এর এইচআর অফিসার সাজিয়া সানজানা। অনুষ্ঠানে অংশীদারিত্ব ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে মানবসম্পদ গড়ে তুলতে নিজেদের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ। অনুষ্ঠানে ইউসিবি’র সিওও অমিত প্রসাদ এ অংশীদারিত্ব নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, “আমরা নিশ্চিত করতে চাই, আমাদের শিক্ষার্থীরা যেনো সঠিকভাবে দক্ষ হয়ে এবং বাস্তবতা সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে ও মানসিকতা তৈরির পরে সম্ভাবনাময় মানবসম্পদ হিসেবে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে প্রবেশ করে। আমরা এর আগে এ বিষয়ে নেতৃস্থানীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদারিত্ব করেছি; এবং এখন নেসলে বাংলাদেশের সাথে আমাদের অংশীদারিত্ব এ প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করেছে। আমাদের প্রত্যাশা এ অংশীদারিত্ব আমাদের শিক্ষার্থীদের খাত সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন ও বাস্তবধর্মী অভিজ্ঞতা গ্রহণের মাধ্যমে তাদের পোর্টফোলিও সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে অনন্য সুযোগ তৈরি করবে।” নেসলে বাংলাদেশের করপোরেট অ্যাফেয়ার্সের ডিরেক্টর – লিগ্যাল, আরএসএ ও কোম্পানি সচিব দেবব্রত রায় চৌধুরী বলেন, “ইউসিবি বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক শিক্ষা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নিজ দেশে অবস্থান করে মোনাশ ইউনিভার্সিটি এবং লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের মতো বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুবর্ণ সুযোগ করে দিয়েছে। আমরা ইউসিবি’র মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে এবং তাদের আমাদের বিশ্বমান সম্পন্ন কাজের সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা অর্জনে সহায়তা করতে চাই। কেননা, আমরা আমাদের বৈচিত্র্যময় ‘নেসলে নিডস ইয়ুথ’ উদ্যোগের মাধ্যমে তরুণদের সফলতা অর্জনে দক্ষ করে তোলার মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী। আমরা আত্মবিশ্বাসী, নেসলেতে আমাদের অভিজ্ঞ পরামর্শ এবং দক্ষতা শিক্ষার্থীদের সম্যক জ্ঞান অর্জনে এবং তাদের আগামী দিনের নেতৃত্বে পরিণত করতে ভূমিকা রাখবে।” Published in: Ekusheysangbad
দক্ষ মানবসম্পদের বিকাশে ইউসিবি ও নেসলে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব
শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ বৃদ্ধিতে সুইজারল্যান্ড-ভিত্তিক বিশ্বের এক নম্বর ফুড ও বেভারেজ ব্র্যান্ড (প্রতিষ্ঠান) নেসলে বাংলাদেশ পিএলসি’র সাথে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে ইউনিভার্সাল কলেজ বাংলাদেশ (ইউসিবি)। সম্প্রতি, ইউসিবি অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে নিজেদের উল্লেখযোগ্য এ মাইলফলকের ব্যাপারে ঘোষণা দেয়। কৌশলগত এ অংশীদারিত্বের লক্ষ্য অ্যাকাডেমিয়া ও সংশ্লিষ্ট খাতের মধ্যে ব্যবধান দূর করে ইউসিবি’র শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত বিকাশে বিভিন্ন সুযোগ প্রদান করা। এ অংশীদারিত্বের ফলে, ইউসিবি শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা উন্মোচনে নিজেদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্লেসমেন্ট সুযোগ, ইন্টার্নশিপ ও বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সুযোগসহ নানা সুবিধা পাবে। এ উদ্যোগ বাজার-সম্পর্কিত জ্ঞান বৃদ্ধিসহ তরুণ মেধাবীদের ভবিষ্যতের করপোরেট বিশ্বে সফল হওয়ার জন্য প্রস্তুত করে তুলতে ইউসিবি ও নেসলে বাংলাদেশ পিএলসি’র প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন। ইউসিবি শিক্ষার্থীরা নেসলে থেকে নলেজ-শেয়ারিং সেশন ও গেস্ট লেকচারে অংশগ্রহণের সুযোগ এবং ক্যারিয়ার সম্পর্কিত বিভিন্ন পরামর্শ পাবে। এ কর্মসূচি এমনভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের শেখার অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করবে, তাদের বাস্তব চ্যালেঞ্জসহ বিভিন্ন প্রতিকূলতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করবে এবং তাদের সঠিক টুল প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ করে তুলবে যেনো তারা রূপান্তরশীল বৈশ্বিক বাজারের সফলতা অর্জন করতে পারে। ইউসিবি ও নেসলে বাংলাদেশ উভয় প্রতিষ্ঠানের উচ্চ কর্মকর্তাবৃন্দের উপস্থিতিতে রাজধানীতে নেসলে কার্যালয়ে এ চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউসিবি ইউওএল-এলএসই’র হেড অব প্রোগ্রাম সৌরিন দত্ত এবং ইউসিবি’র অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার এস. এম. রিসালাত রহমান অনুষ্ঠানে ইউসিবি’র প্রতিনিধিত্ব করেন। নেসলে বাংলাদেশ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্সের ডিরেক্টর – লিগ্যাল, আরএসএ ও কোম্পানি সচিব দেবব্রত রায় চৌধুরী; এইচআরবিপি সিফাত তাবিন্দা আলম; লিগ্যাল অ্যান্ড কমপ্ল্যায়েন্স ম্যানেজার ফয়সাল আহমেদ ও রিক্রুটমেন্ট অ্যান্ড এমপ্লয়ার ব্র্যান্ডিং -এর এইচআর অফিসার সাজিয়া সানজানা। অনুষ্ঠানে অংশীদারিত্ব ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে মানবসম্পদ গড়ে তুলতে নিজেদের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ। অনুষ্ঠানে ইউসিবি’র সিওও অমিত প্রসাদ এ অংশীদারিত্ব নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, “আমরা নিশ্চিত করতে চাই, আমাদের শিক্ষার্থীরা যেনো সঠিকভাবে দক্ষ হয়ে এবং বাস্তবতা সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে ও মানসিকতা তৈরির পরে সম্ভাবনাময় মানবসম্পদ হিসেবে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে প্রবেশ করে। আমরা এর আগে এ বিষয়ে নেতৃস্থানীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদারিত্ব করেছি; এবং এখন নেসলে বাংলাদেশের সাথে আমাদের অংশীদারিত্ব এ প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করেছে। আমাদের প্রত্যাশা এ অংশীদারিত্ব আমাদের শিক্ষার্থীদের খাত সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন ও বাস্তবধর্মী অভিজ্ঞতা গ্রহণের মাধ্যমে তাদের পোর্টফোলিও সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে অনন্য সুযোগ তৈরি করবে।” নেসলে বাংলাদেশের করপোরেট অ্যাফেয়ার্সের ডিরেক্টর – লিগ্যাল, আরএসএ ও কোম্পানি সচিব দেবব্রত রায় চৌধুরী বলেন, “ইউসিবি বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক শিক্ষা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নিজ দেশে অবস্থান করে মোনাশ ইউনিভার্সিটি এবং লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের মতো বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুবর্ণ সুযোগ করে দিয়েছে। আমরা ইউসিবি’র মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে এবং তাদের আমাদের বিশ্বমান সম্পন্ন কাজের সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা অর্জনে সহায়তা করতে চাই। কেননা, আমরা আমাদের বৈচিত্র্যময় ‘নেসলে নিডস ইয়ুথ’ উদ্যোগের মাধ্যমে তরুণদের সফলতা অর্জনে দক্ষ করে তোলার মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী। আমরা আত্মবিশ্বাসী, নেসলেতে আমাদের অভিজ্ঞ পরামর্শ এবং দক্ষতা শিক্ষার্থীদের সম্যক জ্ঞান অর্জনে এবং তাদের আগামী দিনের নেতৃত্বে পরিণত করতে ভূমিকা রাখবে।” Published in: Dreamsylhet24
দক্ষ মানবসম্পদের বিকাশে ইউসিবি ও নেসলে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব
শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ বৃদ্ধিতে সুইজারল্যান্ড-ভিত্তিক বিশ্বের এক নম্বর ফুড ও বেভারেজ ব্র্যান্ড (প্রতিষ্ঠান) নেসলে বাংলাদেশ পিএলসি’র সাথে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে ইউনিভার্সাল কলেজ বাংলাদেশ (ইউসিবি)। সম্প্রতি, ইউসিবি অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে নিজেদের উল্লেখযোগ্য এ মাইলফলকের ব্যাপারে ঘোষণা দেয়। কৌশলগত এ অংশীদারিত্বের লক্ষ্য অ্যাকাডেমিয়া ও সংশ্লিষ্ট খাতের মধ্যে ব্যবধান দূর করে ইউসিবি’র শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত বিকাশে বিভিন্ন সুযোগ প্রদান করা। এ অংশীদারিত্বের ফলে, ইউসিবি শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা উন্মোচনে নিজেদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্লেসমেন্ট সুযোগ, ইন্টার্নশিপ ও বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সুযোগসহ নানা সুবিধা পাবে। এ উদ্যোগ বাজার-সম্পর্কিত জ্ঞান বৃদ্ধিসহ তরুণ মেধাবীদের ভবিষ্যতের করপোরেট বিশ্বে সফল হওয়ার জন্য প্রস্তুত করে তুলতে ইউসিবি ও নেসলে বাংলাদেশ পিএলসি’র প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন। ইউসিবি শিক্ষার্থীরা নেসলে থেকে নলেজ-শেয়ারিং সেশন ও গেস্ট লেকচারে অংশগ্রহণের সুযোগ এবং ক্যারিয়ার সম্পর্কিত বিভিন্ন পরামর্শ পাবে। এ কর্মসূচি এমনভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের শেখার অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করবে, তাদের বাস্তব চ্যালেঞ্জসহ বিভিন্ন প্রতিকূলতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করবে এবং তাদের সঠিক টুল প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ করে তুলবে যেনো তারা রূপান্তরশীল বৈশ্বিক বাজারের সফলতা অর্জন করতে পারে। ইউসিবি ও নেসলে বাংলাদেশ উভয় প্রতিষ্ঠানের উচ্চ কর্মকর্তাবৃন্দের উপস্থিতিতে রাজধানীতে নেসলে কার্যালয়ে এ চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউসিবি ইউওএল-এলএসই’র হেড অব প্রোগ্রাম সৌরিন দত্ত এবং ইউসিবি’র অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার এস. এম. রিসালাত রহমান অনুষ্ঠানে ইউসিবি’র প্রতিনিধিত্ব করেন। নেসলে বাংলাদেশ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্সের ডিরেক্টর – লিগ্যাল, আরএসএ ও কোম্পানি সচিব দেবব্রত রায় চৌধুরী; এইচআরবিপি সিফাত তাবিন্দা আলম; লিগ্যাল অ্যান্ড কমপ্ল্যায়েন্স ম্যানেজার ফয়সাল আহমেদ ও রিক্রুটমেন্ট অ্যান্ড এমপ্লয়ার ব্র্যান্ডিং -এর এইচআর অফিসার সাজিয়া সানজানা। অনুষ্ঠানে অংশীদারিত্ব ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে মানবসম্পদ গড়ে তুলতে নিজেদের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ। অনুষ্ঠানে ইউসিবি’র সিওও অমিত প্রসাদ এ অংশীদারিত্ব নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, “আমরা নিশ্চিত করতে চাই, আমাদের শিক্ষার্থীরা যেনো সঠিকভাবে দক্ষ হয়ে এবং বাস্তবতা সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে ও মানসিকতা তৈরির পরে সম্ভাবনাময় মানবসম্পদ হিসেবে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে প্রবেশ করে। আমরা এর আগে এ বিষয়ে নেতৃস্থানীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদারিত্ব করেছি; এবং এখন নেসলে বাংলাদেশের সাথে আমাদের অংশীদারিত্ব এ প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করেছে। আমাদের প্রত্যাশা এ অংশীদারিত্ব আমাদের শিক্ষার্থীদের খাত সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন ও বাস্তবধর্মী অভিজ্ঞতা গ্রহণের মাধ্যমে তাদের পোর্টফোলিও সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে অনন্য সুযোগ তৈরি করবে।” নেসলে বাংলাদেশের করপোরেট অ্যাফেয়ার্সের ডিরেক্টর – লিগ্যাল, আরএসএ ও কোম্পানি সচিব দেবব্রত রায় চৌধুরী বলেন, “ইউসিবি বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক শিক্ষা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নিজ দেশে অবস্থান করে মোনাশ ইউনিভার্সিটি এবং লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের মতো বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুবর্ণ সুযোগ করে দিয়েছে। আমরা ইউসিবি’র মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে এবং তাদের আমাদের বিশ্বমান সম্পন্ন কাজের সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা অর্জনে সহায়তা করতে চাই। কেননা, আমরা আমাদের বৈচিত্র্যময় ‘নেসলে নিডস ইয়ুথ’ উদ্যোগের মাধ্যমে তরুণদের সফলতা অর্জনে দক্ষ করে তোলার মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী। আমরা আত্মবিশ্বাসী, নেসলেতে আমাদের অভিজ্ঞ পরামর্শ এবং দক্ষতা শিক্ষার্থীদের সম্যক জ্ঞান অর্জনে এবং তাদের আগামী দিনের নেতৃত্বে পরিণত করতে ভূমিকা রাখবে।” Published in: Bongonewsbd24
UCB and Nestlé Bangladesh pen alliance for market-oriented resource development
Unlocking Future Leaders: UCB & Nestlé Bangladesh Team Up for Success! Thrilling partnership offering internships, training, and mentorship opportunities, equipping students with market-ready skills. 🎓✨ Embark on this journey where Education intersects with Opportunity! 💼 Study UoL- London School of Economics and Political Science (LSE) 3-Year Undergraduate Programme at Universal College Bangladesh and open your doors to great career opportunities with top employers in Bangladesh. Learn more about the programme: https://ucbbd.org/admission/university-of-london-uol-london-school-of-economics-lse-programs/ (Add button if possible)
এক কোটির বেশি ‘নিষ্ক্রিয়’ তরুণ নিয়ে কী করে এগোবে বাংলাদেশ?
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সাম্প্রতিক প্রকাশনা ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস, ২০২২’ থেকে আমরা জানতে পেরেছি, বাংলাদেশে বর্তমানে এক কোটির বেশি তরুণ ‘নিষ্ক্রিয়’ অবস্থায় আছেন। দেশের সর্বশেষ জনশুমারি থেকে প্রাপ্ত এই তথ্য আমাদের জন্য যথেষ্ট উদ্বেগজনক। এই ‘নিষ্ক্রিয়তা’র অর্থ মূলত এই যে, দেশে ১৫-২৪ বছর বয়সীদের একটি বড় অংশ কোনো প্রকার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ, দক্ষতামূলক প্রশিক্ষণ গ্রহণ কিংবা পেশাগত দায়িত্ব পালনের সঙ্গে যুক্ত নন। তরুণদের এই নিষ্ক্রিয়তা আমাদের সমাজ ও অর্থনীতির সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিশ্চিতের পথে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। জনশুমারি ও গৃহগণনা রিপোর্ট ২০২২ অনুযায়ী, দেশে ১৫-২৪ বছর বয়সী তরুণদের সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ১৬ লাখ। দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখের ১৯ শতাংশের বেশি এই বয়স-শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। এই তরুণদের প্রায় ৪১ শতাংশ যদি সঠিক সময়ে যথাযোগ্য পেশাদারি বা কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির চাকায় যুক্ত হওয়ার ব্যাপারে উদাসীনতা প্রকাশ করেন, সেটি কোনোভাবেই বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক নয়। এ চিত্রটি হওয়ার কথা ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত। কারণ, ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ জনমিতিক লভ্যাংশের সুবিধা ভোগ করছে, যেটি ২০৪০ সালের মধ্যেই দেশের আর্থসামাজিক প্রবৃদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হয়ে উঠবে বলে আমাদের প্রত্যাশা ছিল। দেশের কর্মক্ষম জনসংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশের বেশি হওয়া সত্ত্বেও এই সম্ভাবনাময় জনশক্তির উপযোগিতা অনুধাবন ও তাঁদের যথাযথ উপায়ে কাজে লাগানোর ব্যর্থতা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক পরিণাম বয়ে আনতে পারে। রিপোর্টটি প্রকাশের পর থেকেই বিশেষজ্ঞ ও গবেষকেরা এর কারণ অনুসন্ধানে বিভিন্ন মতামত ব্যক্ত করছেন। খাতসংশ্লিষ্টদের আলোচনায় দারিদ্র্য, লিঙ্গবৈষম্য, বাল্যবিবাহ, হাতে-কলমে শিক্ষার অপ্রতুলতাসহ বিভিন্ন সমস্যা উঠে এসেছে। এ ক্ষেত্রে আরও কয়েকটি কারণ বিশেষভাবে উল্লেখ করা যায়, যেমন শুধু পাঠ্যপুস্তকনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা, পাঠ্যপুস্তক প্রদত্ত জ্ঞান ও বাজার চাহিদার তফাত এবং মেধাবী তরুণদের যোগ্যতা ও চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ চাকরির অভাব। একই পটভূমিতে ‘ব্রেন ড্রেইন’ বা মেধা পাচার প্রসঙ্গেও আলোকপাত করা প্রয়োজন। কারণ, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দেশের তরুণদের মধ্যে অভিবাসনের ইচ্ছা ও প্রচেষ্টা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে দেখা গেছে। বিগত ১৫ বছরে উচ্চশিক্ষার উদ্দেশে বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে, যা একদিকে বর্তমানের তরুণদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও আত্মবিশ্বাসী পদক্ষেপের পরিচয় দিলেও একই সঙ্গে আমাদের দেশের অভ্যন্তরে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিতের ক্রমবর্ধমান প্রয়োজনীয়তাকেও তুলে ধরছে। জনমিতিক লভ্যাংশের যে সুবিধার কথা আগে উল্লেখ করা হয়েছে, তা ভোগ করার জন্য আমাদের এমন তরুণ জনগোষ্ঠী প্রয়োজন, যাঁদের মধ্যে দক্ষ মানবসম্পদ হয়ে ওঠার তাগিদ রয়েছে। নিজেদের পছন্দসই বিষয় নিয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি প্রায়োগিক দক্ষতা অর্জনে জোর দিয়ে দেশের তরুণেরা স্থানীয় শ্রমবাজারে গতিশীলতা নিশ্চিত করতে পারেন। গবেষণালব্ধ তথ্য থেকে আমরা দেখেছি, উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে তরুণদের এই নিষ্ক্রিয়তার হার কম, অন্যদিকে স্বল্প আয়ের অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই হারের সামঞ্জস্য রয়েছে। অর্থাৎ সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবকাঠামোগত পশ্চাৎপদতা তরুণদের নিরুৎসাহের একটি বড় কারণ। আমরা যদি তরুণদের সামনে বিশ্বমানের শিক্ষার সুযোগ গড়ে তুলতে পারি, যদি বিশ্বনাগরিক হিসেবে তাঁদের ক্যারিয়ারে আরও বড় পরিসরে চিন্তার ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের চর্চাকে উৎসাহিত করতে পারি, তাহলে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় তরুণ প্রজন্মও দেশকে আরও অনেক বেশি সমৃদ্ধ করে তুলতে পারবে। এই লক্ষ্য অর্জনে আমাদের দেশের শ্রমবাজারে বৈচিত্র্য সৃষ্টি করতে হবে এবং ভিন্ন ভিন্ন পেশা ও ধারার মানবসম্পদের জন্য সমান অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরিতে গুরুত্ব দিতে হবে। বাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে আমাদের বৃহত্তর মানবপুঁজির সঠিক প্রয়োগ ও বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের তরুণদের নিজস্ব মতামতকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। কারণ, বিশ্বায়নের এই সময়ে ইন্টারনেট ও ডিজিটালের সুবিস্তৃত পরিসরে তরুণদের প্রত্যেকেরই নিজস্ব চিন্তাধারা ও ঝোঁক গড়ে উঠছে, যার প্রচ্ছন্ন প্রভাব তাঁদের ক্যারিয়ারের পরিকল্পনাতেও দেখতে পাওয়া যায়। আমাদের এই পরিবর্তন সহজভাবে নিতে হবে এবং তরুণদের ওপর ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ও ব্যাংকার হওয়ার চাপ তৈরির পরিবর্তে তাঁদের ঝোঁক ও সহজাত দক্ষতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ দিতে হবে। প্রক্রিয়াটি সহজ নয়, কিন্তু এর ফলাফল হতে পারে অভাবনীয় ও সুদূরপ্রসারী। তরুণদের জন্য শিক্ষার অভিজ্ঞতা উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শিক্ষাপদ্ধতি প্রচলন আমাদের মূল্যবান জনমিতিক লভ্যাংশের সদ্ব্যবহারের সেরা উপায় হতে পারে। সেই সঙ্গে বাজারমুখী শিক্ষা অর্থাৎ প্রায়োগিক দক্ষতার ওপর জোর দেওয়া শিক্ষা তাঁদের নিরাপদ ও সচ্ছল ভবিষ্যৎ গড়তে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। তরুণদের নিষ্ক্রিয়তা একটি আর্থসামাজিক সমস্যা, যার ভিন্ন ভিন্ন উৎস বা কারণ থাকতে পারে। জাতিসংঘ নিজেদের এসডিজি (টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট) লক্ষ্যমাত্রার অধীনে এই সমস্যা নিরসনে জোর দিয়েছে এবং তরুণদের জন্য টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসংস্থান নিশ্চিতের লক্ষ্যে সদস্যরাষ্ট্রগুলোকে আহ্বান জানিয়েছে। সুতরাং বাংলাদেশের মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষাপ্রক্রিয়ার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত সবাইকে, সেই সঙ্গে শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকদেরও নিজেদের চিন্তাধারায় পরিবর্তন আনতে হবে। জনমিতির লভ্যাংশ রীতিমতো একটি আশীর্বাদ, যেটিকে কাজে লাগিয়ে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের উদাহরণ প্রতিনিয়ত তৈরি করেছে। বাংলাদেশকেও এই সুবিধা দ্রুত ও কার্যকরী উপায়ে কাজে লাগানোর দিকে মনোযোগী হতে হবে। স্থানীয় শ্রম বাজারকেন্দ্রিক পরিকল্পনার ঊর্ধ্বে উঠে আন্তর্জাতিক পরিসর ও বৈশ্বিক বাজারের জন্য মানবসম্পদ তৈরির পদক্ষেপ গ্রহণের এখনই সময়। লিঙ্গবৈষম্য বা বাল্যবিবাহের মতো সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে নারী ও কিশোরীদের জন্য আলাদাভাবে আর্থিক ও সামাজিক প্রণোদনা সুবিধা প্রদানের ব্যাপারে ভাবতে হবে। একই সঙ্গে গোটা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষার মানোন্নয়নে জোর দিতে হবে। দেশের সীমারেখার মধ্যেই আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শিক্ষার সুবিধা নিশ্চিতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ ক্ষেত্রে আরও বেশি বেশি আন্তর্জাতিক অংশীদারত্ব গঠন করে স্থানীয় মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্বনাগরিক হয়ে ওঠার পথ সুগম করতে হবে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০২৩ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা ২৫ লাখের কাছাকাছি। একই সঙ্গে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) রিপোর্ট থেকে জানা যায়, দেশে শিক্ষিত বেকারের হার প্রায় ৪৭ শতাংশে ঠেকেছে অর্থাৎ কাগজে-কলমে পর্যাপ্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরিপ্রার্থী তরুণদের প্রায় অর্ধেক কর্মহীনতার গ্লানি বহন করছেন। দেশে কিশোর ও তরুণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে অপরাধপ্রবণতা, মাদকাসক্তি, হতাশা, অবসাদ ও আত্মহত্যার হার আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ার পেছনে এটিও একটি বড় কারণ বলে মনে করেন সমাজবিদ ও বিশেষজ্ঞরা। তরুণদের নিজেদের অন্তর্নিহিত সক্ষমতার গুরুত্ব বোঝানো না গেলে, তাঁদের নিজেদের মেধা ও দক্ষতা চর্চায় অনুপ্রাণিত করে তোলা না গেলে, এই সমস্যাগুলো আরও প্রকট আকার ধারণ করবে। জনমিতির লভ্যাংশ রীতিমতো একটি আশীর্বাদ, যেটিকে কাজে লাগিয়ে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের উদাহরণ প্রতিনিয়ত তৈরি করেছে। বাংলাদেশকেও এই সুবিধা দ্রুত ও কার্যকরী উপায়ে কাজে লাগানোর দিকে মনোযোগী হতে হবে। স্থানীয় মানবসম্পদের পূর্ণাঙ্গ বিকাশের পথ তৈরি করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুযোগ্য বিশ্বনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদেরই। মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, ডিন অব একাডেমিক অ্যাফেয়ার্স, ইউনিভার্সাল কলেজ বাংলাদেশ (ইউসিবি) Published in: Prothom Alo