বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার সুযোগ বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে ইউনিভার্সাল কলেজ বাংলাদেশ (ইউসিবি)। এর ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ‘মোনাশ প্রগ্রেশন ডে’ শীর্ষক এক বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করে দেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানটি। দেশের বাইরে সফলভাবে পড়াশোনা এবং প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাজারে সফল ক্যারিয়ার গড়ার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা পেতে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন অসংখ্য ছাত্র, অভিভাবক ও শিক্ষাবিদ। বিজ্ঞপ্তি
আয়োজনের অন্যতম আকর্ষণ ছিল ‘স্টাডি অ্যাট ইউসিবি টু বিগিন ইউর ইন্টারন্যাশনাল ক্যারিয়ার’ প্রসঙ্গে একটি তথ্যসমৃদ্ধ প্যানেল আলোচনা।
মোনাশ কলেজ অস্ট্রেলিয়ার সিইও জো মিথেন, ইউসিবির প্রেসিডেন্ট ও প্রভোস্ট প্রফেসর হিউ গিল, একাডেমিক অ্যাফেয়ার্সের ডিন প্রফেসর মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেনসহ এই প্যানেল আলোচনায় যুক্ত হন ইউসিবির সাবেক শিক্ষার্থী ফাইয়াজ মাকসুদুল হক, রাফিয়াদ রুহি জুয়েল, আফ্রিদা নুসাইবা মাসির এবং মালিহা নাশিতা রহমান। শিক্ষার্থীদের সবাই এখন মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন।
প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা ব্যাখ্যা করেন, কীভাবে ইউসিবির মোনাশ পাথওয়ে প্রোগ্রাম তাদের আন্তর্জাতিক উচ্চশিক্ষার যাত্রা আরো সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তোলে এবং এর মাধ্যমে কীভাবে তারা তাদের পছন্দসই বিষয়ে ডিগ্রি অর্জনের জন্য সরাসরি প্রথম বা দ্বিতীয় বর্ষ থেকে পড়াশোনা আরম্ভ করতে সক্ষম হন।
প্রফেসর হিউ গিল বলেন, বিভিন্ন পাথওয়ের আওতায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে প্রস্তুত করে তোলা জরুরি, কারণ এর মাধ্যমে তারা ভবিষ্যৎ বিশ্ববাজারের জন্য প্রয়োজনীয় ট্রান্সফারেবল স্কিলগুলো রপ্ত করে নেয়ার সময়-সুযোগ পাবে। দেশে আন্তর্জাতিক বা জাতীয় পাঠ্যক্রম অনুসরণকারী স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যয়-সাশ্রয়ী পাথওয়ে নিয়ে এসেছে ইউসিবি এবং এর বিভিন্ন কার্যক্রম মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের নিশ্চয়তাও দিচ্ছে। আমাদের আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন অনুষদ সদস্যদের দক্ষতা এবং প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য বিশেষায়িত শিক্ষার সুব্যবস্থা দেশের শিক্ষার্থীদের বিদেশে যাওয়ার আগে পূর্ণাঙ্গভাবে প্রস্তুত করে তোলে। এগুলোই দেশে ইউসিবি-মোনাশ কার্যক্রমের অনন্য বৈশিষ্ট্য।
মোনাশ কলেজের সিইও জো মিথেন বলেন, ২০২৪ সালের কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র?্যাঙ্কিংয়ে ৪২তম অবস্থান অর্জন করেছে মোনাশ ইউনিভার্সিটি। বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থীরা এমন মর্যাদাপূর্ণ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য তুমুল প্রতিযোগিতা করে। আমি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদেরও এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে উৎসাহিত করব। ইউসিবির মাধ্যমে সফলভাবে মোনাশ পাথওয়ে প্রোগ্রাম সম্পন্ন করলে মোনাশ ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সুযোগ নিশ্চিত করা সম্ভব। আশা করছি, আরো বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ইউসিবি পাথওয়ে প্রোগ্রাম সম্পর্কে জানবেন এবং দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পরিসরে তাদের একাডেমিক এবং ক্যারিয়ার সম্ভাবনাগুলো আরো উজ্জ্বল করে তুলতে পারবেন।
মোনাশ প্রগ্রেশন ডেতে আসা শিক্ষার্থীরা একটি উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন। সেখানে বর্তমানে মোনাশ ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা কীভাবে ইউসিবি থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা তাদের ভর্তিপ্রস্তুতিতে সহায়তা করেছে- তা বিস্তারিত তুলে ধরেন। প্যানেল আলোচনা শেষে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা বিভিন্ন ব্যক্তিগত পরামর্শ এবং একাডেমিক কাউন্সেলিংয়ের জন্য মোনাশ কলেজের সিইও এবং অন্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তারা বিভিন্নরকম বৃত্তি, দেশে-বিদেশে ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার ইত্যাদি প্রসঙ্গেও আলোচনা করেন। অতিরিক্ত আকর্ষণ হিসেবে অনুষ্ঠানে গত বছরে ইউসিবির মোনাশ ইউনিভার্সিটি পাথওয়ে প্রোগ্রামে সেরা ফলাফল অর্জনকারীদের হাতে ‘হাই এচিভারস অ্যাওয়ার্ড’ তুলে দেয়া হয়। এ ছাড়াও আয়োজনে ইউসিবির অধীনে মোনাশ কলেজ প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত সম্মিলিত পর্যায়ে সেরা ফলাফলকারী শিক্ষার্থীদের হাতে ‘হাই এচিভারস অ্যাওয়ার্ড’ তুলে দেয়া হয়।
Published in: Bhorerkagoj